মেমারী (পূর্ব বর্ধমান) :- কোনোরকম বিবাদে যাবেন না। সবাই মিলে মিশে থাকবেন। কেউ কিছু বললে এক কান দিয়ে শুনে অন্য কানকে দিয়ে বার করে দেবেন। বেশি কষ্ট পেলে আমাকে বলবেন, আমি পানি পড়া, তেল পড়া দিয়ে তাকে ঠিকঠাক করে নেবো। কাটমানি দিতে পারবো না। কেউ যদি নিজে ভাবে চালাক, সেই চালাকির ক্ষেত্র ধরে যদি বলে আমাকে কিছু দাও আমি প্রার্থী করে দেবো তাহলে সাবধান। যাতে কালো মেঘ না আসে, দলকে বিব্রত না হতে হয়। দল প্রার্থী ঠিক করবে, সিদ্দিকুল্লাহ চৌধুরী বা হরিসাধন ঘোষ প্রার্থী ঠিক করবে না। ভাল কাজ করলে দল নিশ্চয়ই তাকে প্রার্থী করবে। মঙ্গলবার মেমারীর সাতগেছিয়া বাজারে কেন্দ্রীয় সরকারের ভ্রান্ত নীতি, মূল্যবৃদ্ধি সহ একাধিক কাজের প্রতিবাদে মেমারী ২ ব্লক তৃণমূল কংগ্রেসের ডাকে আয়োজিত সভায় এই মন্তব্য করলেন রাজ্যের গ্রন্থাগার মন্ত্রী তথা মন্তেশ্বরের বিধায়ক সিদ্দিকুল্লাহ চৌধুরী। এদিন এই সভায় অন্যান্যদের মধ্যে হাজির ছিলেন আইএনটিটিইউসির জেলা সভাপতি সৈয়দ মহম্মদ সেলিম, জেলা যুব সভাপতি রাসবিহারী হালদার, জেলা পরিষদের মেণ্টর উজ্জ্বল প্রামাণিক প্রমুখরাও। এদিন সিদ্দিকুল্লাহ চৌধুরী জানিয়েছেন, টাকা দিয়ে পঞ্চায়েতের প্রার্থীর জন্য যাতে দলীয় কর্মীরা প্রলোভিত হতে না পারেন সেজন্যই তিনি সাবধান করেছেন। কাউকে উদ্দেশ্য করে তিনি কিছু বলেননি। উল্লেখ্য, মেমারী ২ ব্লক তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি হিসাবে মহম্মদ ইসমাইলকে সরিয়ে হরিসাধন ঘোষকে ব্লক সভাপতি করার পর থেকেই ইসমাইল গোষ্ঠীর সঙ্গে সিদ্দিকুল্লাহ চৌধুরীর বাদানুবাদ রীতিমত আছড়ে পড়েছে রাস্তায়।