বর্ধমান (পূর্ব বর্ধমান) :- বর্ধমানের নান্দুর ঝাপান তলায় আদিবাসী ছাত্রীকে গলার নলি কেটে নৃশংস ভাবে খুনের ঘটনা ও আর জি করের নারকীয় ঘটনায় জড়িতদের দ্রুত ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে রবিবার প্রায় ৫ ঘণ্টা ১৯ নম্বর জাতীয় সড়ক অবরোধ করলো আদিবাসী সংগঠন ভারত জাকাত মাঝি পরগনা মহল। এদিন সকাল প্রায় ১০ টা নাগাদ ১৯ নং নম্বর জাতীয় সড়কের কাঁন্দোরসোনা এলাকায় তীর ধনুক, লাঠি, বল্লম নিয়ে প্রতিবাদ আন্দোলনে সামিল হন আদিবাসী সম্প্রদায়ের মানুষরা। উল্লেখ্য, গত বুধবার সন্ধ্যা নাগাদ বাড়ি থেকে মাত্র ৫০ মিটার দূরে সবজির ক্ষেত থেকে গলার নলি কাটা অবস্থায় বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ের দূরশিক্ষা বিভাগের ছাত্রী প্রিয়াঙ্কা হাঁসদা (২৫)-র রক্তাক্ত দেহ উদ্ধার হয়। তারপর থেকে ৪ দিন কেটে গেলেও এখনও অধরা আততায়ী। তাই পুলিশের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলে অবরোধে সামিল হন আদিবাসীরা। আততায়ীকে দ্রুত গ্রেপ্তার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে প্রায় ৫ ঘণ্টা জাতীয় সড়ক অবরোধ করেন তাঁরা। অপ্রীতিকর অবস্থা এড়াতে মোতায়েন করা হয় বিশাল পুলিশ বাহিনী। এদিকে, জাতীয় সড়কে এভাবে রাস্তা অবরোধ হওয়ায় তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়। দীর্ঘক্ষণ অবরোধ চলার পর পুলিশের অনুরোধে আন্দোলনকারীদের কয়েকজন প্রতিনিধি গিয়ে দেখা করেন জেলা পুলিশ সুপারের কাছে। এদিন আন্দোলনকারীদের সঙ্গে থাকা বিজেপির এসটি মোর্চার রাজ্য সভাপতি তথা বিধায়ক জুয়েল মূর্মূ প্রশ্ন তোলেন, পুলিশ সময় দিয়েও এখনও গ্রেফতার করতে পারলো না কেন? আদিবাসী মানুষ বলে অবহেলা করা হচ্ছে, গ্রেফতার করা হলো না। ধনী পরিবারের সেন্টিমেন্ট থাকলে হয়ত হতো। এদিন সি বি আই তদন্তেরও দাবি করেন তিনি। পুলিশ-প্রশাসন কী করছে জবাব চান তিনি। নান্দুড়ের খুনি সহ আর জি কর কাণ্ডের দোষীদের ফাঁসিও দাবি করেন তিনি। অন্যদিকে, আন্দোলনকারীরা জানিয়েছেন, ১৪ আগস্ট এই খুনের ঘটনা ঘটেছে। আজ ১৮ তারিখ হয়ে গেলো কিন্তু অপরাধী গ্রেফতার হলো না। আদিবাসী বলে এই অবস্থা, অবহেলা করা হচ্ছে। আর জি করে তদন্ত শুরু হয়েছে। এখানে কিছু হলো না কেন? ঘটনাকে ধামাচাপা দেওয়ার জন্য এই বিলম্ব করা হচ্ছে বলে তাঁরা এদিন অভিযোগও তোলেন। তাঁরা জানান, সাম্প্রতিককালে এই রকম ১০-১২ টা ঘটনা ধামাচাপা দেওয়া হয়েছে। এটাও ধামাচাপার চেষ্টা চলছে। আন্দোলনকারী লক্ষ্মী মান্ডি জানিয়েছেন, প্রিয়াংকা হাঁসদার খুনিকে অবিলম্বে গ্রেফতারের দাবিতে এই রাস্তা অবরোধ করা হয়েছে। দোষীর ফাঁসি চান তাঁরা। অপরদিকে, এদিন পুলিশ সুপারের সঙ্গে দেখা করে আসার পর প্রতিনিধিরা জানান, পুলিশ সুপার ফের ১০ দিনের সময় চেয়েছেন। তার মধ্যেই খুনিকে গ্রেপ্তার করা হবে বলে তিনি প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। পুলিশ সুপারের এই আশ্বাস পাওয়ার পর ৫ ঘণ্টা পর অবরোধ তুলে নেন আন্দোলনকারীরা।
Check Also
সাঁকটিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ে চালু হলো এআই প্রযুক্তির স্মার্ট ক্লাস জেলার মধ্যে প্রথম সরকার পোষিত হাইস্কুলে চালু এআই প্রযুক্তির স্মার্ট ক্লাস
রায়না (পূর্ব বর্ধমান) :- স্কুলের প্রাক্তনীদের ঐকান্তিক চেষ্টায় পূর্ব বর্ধমানের রায়না থানার সাঁকটিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ে …