বর্ধমান (পূর্ব বর্ধমান) :- অনেকের কাছে প্রচুর অর্থ আছে, আছে সময়ও, কিন্তু তাঁদের কাছে নেই সমাজের জন্য কিছু করার মত মন। আবার আমাদের মত অনেকেই আছেন যাঁরা সভা সমিতিতে ভাষণ দিয়ে বেড়াই, আমরা জনগণের পাশে আছি। কিন্তু তাঁরা আদপেই কি জনগণের পাশে আছেন? সোমবার বর্ধমান টাউন হলে আয়োজিত ষষ্ঠ স্বাস্থ্যমেলার উদ্বোধন করতে গিয়ে এই মন্তব্য করেন বর্ধমান পৌরসভার পুরপ্রধান পরেশচন্দ্র সরকার। তিনি এদিন বলেন, তাঁর ওপরে ওঠারও কিছু নেই আবার নিচে নামাবারও কিছু নেই। তাই তিনি তাঁর জীবন অভিজ্ঞতায় যা দেখছেন, যা অভিজ্ঞতা লাভ করেছেন তাই তিনি বলছেন। পরেশবাবু জানিয়েছেন, বর্ধমানে বহু ডাক্তার রয়েছেন যাঁরা সারা দিনে দেড় হাজারেরও বেশি রোগী দেখেন প্রতিদিন। তাঁদের আয় অবিশ্বাস্য। কিন্তু তাঁরা সমাজের জন্য কিছু করার তাগিদ অনুভব করেন না। কিন্তু তাঁরা যদি এগিয়ে আসেন তাহলেই সমাজের ভোল বদলে যেতে পারে। অনেক উপকার সাধিত হয় সাধারণ মানুষের। এদিন বক্তব্য রাখতে গিয়ে জেলার মুখ্য স্বাস্থ্যাধিকারিক জয়রাম হেমব্রম বলেন, কেবলমাত্র পূর্ব বর্ধমান জেলাই নয়, গোটা দেশে যা জনসংখ্যা সেই অনুপাতে সরকারি স্বাস্থ্য পরিষেবার পরিকাঠামো নেই। সম্ভবও নয়। সরকার সীমিত সামর্থ্যের মধ্যে চেষ্টা করছে। কিন্তু সকলকে স্বাস্থ্য পরিষেবা দিতে গেলে বেসরকারি সংস্থার সঙ্গে সরকারি সংস্থাকে হাতে হাত মিলিয়ে কাজ করতে হবে। একইসঙ্গে তিনি এদিন বেসরকারি চিকিৎসা কেন্দ্রগুলিকে নিয়ম মেনে ব্যবসা করার বিষয়ে সতর্কও করেন। বর্ধমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সুপার ডা. তাপস ঘোষও এদিন বলেন, কেবলমাত্র সরকারি হাসপাতালের ওপর নির্ভর করলে স্বাস্থ্য ব্যবস্থাটাই ভেঙে পড়বে। তিনি এদিন বলেন, কলকাতার পরেই বর্ধমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে দুই বর্ধমান ছাড়াও অন্যান্য ৫টি জেলা ২ টি রাজ্যের মানুষ আসেন। তাঁদের পরিষেবা দিতে হয়। টারশিয়ারি ক্যানসার চিকিৎসা শুরু হয়েছে বর্ধমান হাসপাতালে। বর্ধমানের অনাময় হাসপাতালে নিউরো ও কার্ডিও বিভাগকে উন্নত করা হয়েছে। এই দুই সার্জারি চালু হলে কলকাতার পর বর্ধমান হবে দ্বিতীয়। গত ২৪ জানুয়ারি মুখ্যমন্ত্রী বর্ধমানে প্রশাসনিক সভা করতে এসে অনাময় হাসপাতালের নিউরো সার্জারির জন্য ৬ কোটি টাকা বরাদ্দ করে গেছেন বলে তাপসবাবু এদিন জানিয়েছেন। অন্যান্যদের মধ্যে এদিন উপস্থিত ছিলেন বর্ধমান দক্ষিণের বিধায়ক খোকন দাস, ডেপুটি সিএমওএইচ সুবর্ণ গোস্বামী, ডা. জগন্নাথ মণ্ডল সহ বিশিষ্ট ব্যক্তিরা। এদিন এই স্বাস্থ্যমেলায় ৪জন শিক্ষিকা সহ মোট ৮জন মরণোত্তর দেহদানের অঙ্গীকার করেন।
Tags Health Fair Hospital Nursing home
Check Also
বাংলা আবাস যোজনায় নাম দোতলা বাড়ির মালিক বিধায়কের শাশুড়ি এবং পঞ্চায়েত প্রধানের
খণ্ডঘোষ (পূর্ব বর্ধমান) :- পূর্ব বর্ধমানের খণ্ডঘোষের তৃণমূল বিধায়ক নবীনচন্দ্র বাগের শ্বশুরবাড়ির একাধিক বাড়িতে হুকিং …