বর্ধমান (পূর্ব বর্ধমান) :- সন্দেশখালি কাণ্ডে অজিত মাইতিকে শাসকদলের ছেঁটে ফেলায় মীনাক্ষী বললেন, ওদের আবার দল, তার আবার সাসপেন্ড। রবিবার ডিওয়াইএফআই বর্ধমান শহর কমিটির পক্ষ থেকে বর্ধমান টাউন হলে আয়োজিত ‘বর্তমান পরিস্থিতিতে আমাদের দায়িত্ব ও কর্তব্য’ শীর্ষক আলোচনা সভায় যোগ দিতে এসে এভাবেই প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করে গেলেন ডিওয়াইএফআইয়ের রাজ্য সম্পাদক মীনাক্ষী মুখার্জি শনিবারই মীনাক্ষী পুলিশের চোখে ধুলো দিয়ে ঘুরপথে সন্দেশখালি যান। কথাও বলেন সেখানকার বাসিন্দাদের সঙ্গে। রবিবারও সন্দেশখালিতে চলছে বিক্ষোভ। রবিবার বর্ধমানে এসে মীনাক্ষী বলেন, ওরা লুট করেছে মানসম্মান, জমি, ১০০ দিনের কাজের টাকা। তারপর সাধারণ মানুষ ওদের আবার জল মিষ্টি দিয়ে ঠান্ডা বাতাস করবে নাকি। যারা লুঠ করলো তাঁদের কাছে রাজ্যের মানুষ মাথা নামিয়ে দেবে? সন্দেশখালি কাণ্ডে মহিলাদের ওপর অত্যাচারের প্রসঙ্গে মীনাক্ষী বলেন, ধর্ষণ মানে শুধু চিকিৎসাশাস্ত্রের যে টার্মগুলো আছে সেটাই ধর্ষণ? কার বাড়িতে কমবয়েসি ভালো দেখতে মেয়ে-বউ আছেন পার্টির ছেলেরা আগে এসে দেখে যাবে সেটা ধর্ষণ নয়? রাত ১২ টায় ডেকে পাঠাবে সেটা ধর্ষণ নয়? যেতে না চাইলে বাড়ির লোকেদের এসে পেটাবে সেটা ধর্ষণ নয়? গোটা সন্দেশখালির যারা হাতে ঝাঁটা, লাঠি নিয়ে ছিলেন তাঁরা প্রত্যেকে এভাবেই অত্যাচারিত। তিনি বলেন, মেডিকেল টার্ম অনুযায়ী যদি কেউ ধর্ষণ বলতে চায় তার কথা আলাদা। আসলে গোটা সন্দেশখালির সাথে গোটা রাজ্যের মা-বোনেদের সম্মানহানি এবং ধর্ষণ করেছে এ রাজ্যের সরকার। এটা খুবই পরিকল্পনা মাফিক। মীনাক্ষী এদিন বলেন, এটাই হচ্ছে আরএসএস-এর কাজ। আরএসএস কোনও দিন মেয়েদের জায়গা দিতে চায়না যে তাঁরা রাস্তায় থাকুক, তাঁরা এগিয়ে থাকুক, তাঁরা কাজে থাকুক, তাঁরা রাজ্য ও সরকারকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার কাজে থাকুক। আরএসএস-এর ঘোষিত অ্যাজেন্ডা মেয়েরা হয় আঁতুড় ঘরে থাকবে নাহয় রান্নাঘরে থাকবে। তিনি বলেন, আর আরএসএস-এর প্রোডাক্ট তৃণমূল কংগ্রেস। সে কী করে মেয়েদের সম্মান দিতে পারবে? নাম না করে মুখ্যমন্ত্রীকে উদ্দেশ্য করে মীনাক্ষী বলেন, উনি তো নাবালিকা-সাবালিকাদের ধর্ষণের রেট ঠিক করে দিয়েছিলেন। পরিকল্পনামাফিক প্রথমে পায়ের তলার জমি কেড়ে নেওয়া, সমস্ত জায়গায় নিয়োগ বন্ধ করে দেওয়া, চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ করে তাঁদেরকে আইন অমান্য করে বেকার খাটানো। তারপর আপনি অনুদানের নামে ৫০০-১০০০ টাকা করে দিচ্ছেন। আপনার চেলা, চামুণ্ডা, দুষ্টু, দামাল ছেলেপুলেদের রাত ১২ টায় আমাদের ডেকে পাঠানোর জন্য? মিনাক্ষী বলেন, গোটা সন্দেশখালি নয় গোটা রাজ্যের মানুষ থু থু করছেন। এই পার্টিটাকে নিষিদ্ধ করে দেওয়া উচিত। ওই পার্টি অফিসটাকে এই মুহূর্তে সিজ করা উচিত। ওই পার্টি অফিসে যারা যাতায়াত করত তাঁদের ডেকে জিজ্ঞাসা করা উচিত। তাঁদের নামে কেস করা উচিত। মীনাক্ষী চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে জানান, পুলিশ মন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দম থাকলে করে দেখান। দুর্নীতি যে বড় উইকিপিডিয়াটা ওরা রেখেছে এগুলো তার একেকটা শব্দ। গোটা রাজ্যের এমন একটা জায়গা নেই যেখানে ওরা দুর্নীতি করেনি।
Tags Minakshi Mukherjee Trinamool Congress
Check Also
বর্ধমানে আয়োজিত হলো পঞ্চম শর্ট ফিল্ম ফেস্টিভ্যাল
বর্ধমান (পূর্ব বর্ধমান) :- বর্ধমান চলচ্চিত্র চর্চা কেন্দ্রের উদ্যোগে আয়োজিত হলো শর্ট ফিল্ম ফেস্টিভ্যাল। রবিবার …