বিপুন ভট্টাচার্য, বর্ধমান (পূর্ব বর্ধমান) :- গোটা রাজ্যের সঙ্গে শুক্রবার পূর্ব বর্ধমান জেলার ৬ টি পৌরসভার প্রার্থী তালিকা প্রকাশ করল সর্বভারতীয় তৃণমূল কংগ্রেস। কোলকাতা থেকেই এদিন এই তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে। ঘোষিত তালিকা অনুসারে বর্ধমান পৌরসভায় ২১ জন পুরনো কাউন্সিলারকে এবারে আর টিকিট দেওয়া হয়নি। যা নিয়ে শুরু হয়েছে বিতর্কও। পুরনো কাউন্সিলারদের মধ্যে সুযোগ পেয়েছেন ১৪ জন। এরমধ্যে কয়েকজন পুরনো কাউন্সিলারের ওয়ার্ডও পরিবর্তন করা হয়েছে। উল্লেখযোগ্য নতুন মুখ হিসাবে টিকিট দেওয়া হয়েছে পূর্ব বর্ধমান জেলা তৃণমূল যুব কংগ্রেসের প্রাক্তন সভাপতি রাসবিহারী হালদারকে। তাঁর মা আল্পনা হালদার বর্তমানে বর্ধমান পৌর প্রশাসক মণ্ডলীর ভাইস চেয়ারপার্সন হলেও তাঁকে আর টিকিট দেওয়া হয়নি। এছাড়াও নতুন মুখ হিসাবে টিকিট পেয়েছেন ৪নং ওয়ার্ডে নুরুল আলম। বর্ধমান দক্ষিণের তৃণমূল বিধায়ক খোকন দাসের স্ত্রী মৌসুমী দাসকে ২৩নং ওয়ার্ডে টিকিট দেওয়া হয়েছে। উল্লেখ্য, খোকন দাসও বর্ধমান পৌরসভার কাউন্সিলার ছিলেন, যদিও এবার তাঁকে টিকিট দেওয়া হয়নি। এছাড়াও নতুন উল্লেখযোগ্য মুখের মধ্যে রয়েছেন সম্প্রতি তৃণমূল কংগ্রেসের হিন্দি শাখায় উঠে আসা নেতা নাড়ু গোপাল ভকত। তাঁকে ২২নং ওয়ার্ডে টিকিট দেওয়া হয়েছে। বিধায়ক খোকন দাসের ঘনিষ্ট অনুগামী হিসাবে পরিচিত মানিক দাস, শ্যামাপ্রসাদ ব্যানার্জ্জী, নাড়ু গোপাল ভকত-সহ কয়েকজনকে টিকিট দেওয়া হয়েছে।
এদিকে, এদিন তৃণমূলের প্রার্থী তালিকা ঘোষিত হতেই বর্ধমান পৌরসভার ১৯ নং ওয়ার্ডে শুরু হয় বিক্ষোভ। এই ওয়ার্ডে তৃণমূল প্রার্থী করেছে প্রাক্তন কাউন্সিলার সাহাবুদ্দিন খানকে। তাঁর বিরুদ্ধেই দলীয় পতাকা ছাড়াই ঘোড়া সহিদ ও নতুনগঞ্জ এলাকায় বিক্ষোভে সামিল হন একাংশের তৃণমূল কর্মীরা। বিক্ষোভকারীদের দাবী ১৯ নং ওয়ার্ডে ইমরান কায়ূম ও সেখ সমীরের মধ্যে কাউকে তৃণমূলের প্রার্থী করা হোক। এলাকায় বিক্ষোভের খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছায় বর্ধমান থানার পুলিশ। এর পাশাপাশি বর্ধমান পৌরসভার ২ নং ওয়ার্ডের সুভাষপল্লী এলাকায় বিক্ষোভে সামিল একাংশের তৃণমূল কর্মীরা। ২ নং ওয়ার্ডে তৃণমূল প্রার্থী করেছে রুবি মুখার্জীকে। বিক্ষোভকারীদের দাবী ২ নং ওয়ার্ডে তনুজা বেগমকে তৃণমূলের প্রার্থী করতে হবে।