বর্ধমান (পূর্ব বর্ধমান) :- শনিবার ছুটির দিনকে চুটিয়ে কাজে লাগিয়ে নিলেন বর্ধমান-দুর্গাপুর লোকসভা আসনের তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী মমতাজ সংঘমিতা। এদিন সকালে বর্ধমান শহর এবং শহর লাগোয়া বেশ কয়েকটি অঞ্চলে একদিকে কর্মীসভা, অন্যদিকে সংশ্লিষ্ট এলাকায় ভোটের প্রচার করে তিয়াত্তরের ‘তরুণী’ মমতাজ প্রচারে ঝড় তুলে দিলেন। একের পর এক কর্মীসভায় গিয়ে কর্মী এবং নেতৃত্বদের নির্দেশ দিলেন মমতা বন্দোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে গোটা রাজ্যে যে সমস্ত প্রকল্পগুলি চালু হয়েছে তার সুফলকে পৌঁছাতে হবে ঘরে। তুলে ধরতে হবে উন্নয়নের প্রচারকে। কোনো ঘর কোনো ভোটার যেন বাদ না পড়ে। খোদ মমতাজ সংঘমিতা জানিয়েছেন, তিনি তো প্রার্থী নন, প্রার্থী তো মমতা বন্দোপাধ্যায়। তিনি মমতা বন্দোপাধ্যায়ের প্রতিনিধি হিসাবে ভোটারদের কাছে যাচ্ছেন। তাঁদের কাছে ভোট দেবার আবেদন জানাচ্ছেন। শনিবার সকাল থেকে বিকাল একের পর কর্মীসভা এলাকাভিত্তিক প্রচারের পর এদিন মহিলাদের নিয়ে কেন্দ্রীয় মিছিলেও অংশ নিলেন মমতাজ সংঘমিতা। এদিন বিকালে বর্ধমানের উত্সব ময়দান থেকে তৃণমূল কংগ্রেসের প্রমীলাদের নিয়ে কেন্দ্রীয় মিছিল অনুষ্ঠিত হয় বর্ধমান ষ্টেশন পর্যন্ত। মিছিল কিছুটা এগোতেই মিছিলে অংশ নেন স্বপন দেবনাথও। উল্লেখ্য, শনিবার বিকাল পর্যন্তও বিজেপি বর্ধমান-দুর্গাপুর লোকসভা আসনে প্রার্থীই ঘোষণা করতে পারেনি। যদিও তাতে থেমে নেই বর্ধমানের গেরুয়া শিবির। কর্মীদের চাঙ্গা রাখতে চলছে মণ্ডলে মণ্ডলে কর্মীসভা। খোদ দলের জেলা সভাপতি সন্দীপ নন্দী জানিয়েছেন, তাঁদের প্রার্থী নরেন্দ্র মোদি। আর বর্ধমান-দুর্গাপুর লোকসভা আসনে মোদিজীর প্রতিনিধিত্ব কে করবেন তার অপেক্ষা না করেই তাঁরা তৈরী রয়েছেন। এদিকে, এরই পাশাপাশি বর্ধমান-দুর্গাপুর লোকসভা আসনের কংগ্রেস প্রার্থী এবং রাহুল বিগ্রেডের অন্যতম সদস্য রণজিত মুখোপাধ্যায়ও বর্ধমান শহর সহ নিজের নির্বাচনী কেন্দ্রগুলিতে বিধানসভা ভিত্তিক কংগ্রেস কর্মীদের নিয়ে বৈঠক শুরু করে করে দিয়েছেন। সমস্ত কংগ্রেস কর্মীকে মাঠে নামানোর জন্য তিনি উদ্যোগ নিয়েছেন। বাদ নেই বর্ধমান পূর্বের কংগ্রেস প্রার্থী সিদ্ধার্থ মজুমদারও। তিনিও তাঁর নির্বাচনী কেন্দ্রে কর্মী বৈঠকে জোড় দিয়েছেন। এদিকে, লোকসভা নির্বাচনকে সামনে রেখেই ফের চাঙ্গা হতে শুরু করেছে বর্ধমানের সিপিআই(এম) নেতাকর্মীরা। রাজ্যের শাসকদলের সন্ত্রাসে যে সমস্ত জায়গায় সিপিআই(এম)-এর দলীয় কার্যালয়গুলিকে বন্ধ করে দেবার অভিযোগ ছিল, লোকসভা নির্বাচনের প্রেক্ষিতে সেই সমস্ত কার্যালয়গুলি ফের খোলা শুরু হয়েছে। গত বিধানসভা ও পঞ্চায়েত ভোটের প্রাক্কালে কয়েকটি খুলেছিল। এবার লোকসভা ভোটের মুখেও কয়েকটি কার্যালয় ফের চালু করল সিপিএম। শনিবার দেওয়ানদিঘির কার্যালয়ের তালা খুলে বসা শুরু করলেন সিপিএম নেতা-কর্মীরা। এদিন সকালে সিপিএম নেতা গণেশ চৌধুরি-সহ কয়েকজন গিয়ে তালা খোলেন দেওয়ানদিঘির সিপিএম কার্যালয়ের। শুক্রবারই এই এলাকায় মিছিল করেছিলেন বর্ধমান-দুর্গাপুর কেন্দ্রের সিপিএম প্রার্থী আভাস রায়চৌধুরি। ছিলেন প্রাক্তন জেলা সম্পাদক অমল হালদার, গণেশ চৌধুরি, মেহেবুব আলম সিদ্দিকি,জহর দত্ত প্রমুখ। আর পরদিনই এই কার্যালয় খুলে চনমনে বাম শিবির। ২০১২ সালে ফেব্রুয়ারি মাসে এই কার্যালয়ের সামনেই খুন হয়েছিলেন প্রাক্তন বিধায়ক তথা সিপিআই(এম) নেতা প্রদীপ তা ও দলীয় নেতা কমল গায়েন। তারপর থেকে কার্যালয়টি বন্ধ ছিল। পরে কার্যালয়টি ফের খোলা হয়েছিল। কিন্ত বেশিদিন আর খোলা থাকেনি। আবার বন্ধ করে দিতে হয় সেটি।
Tags AITC All India Trinamool Congress Bardhaman-Durgapur Bardhaman-Durgapur constituency Bardhaman-Durgapur Lok Sabha constituency Bharatiya Janata Party BJP Congress CPI(M) CPM INC Lok Sabha constituency Lok Sabha Election tmc
Check Also
বর্ধমানে আয়োজিত হলো পঞ্চম শর্ট ফিল্ম ফেস্টিভ্যাল
বর্ধমান (পূর্ব বর্ধমান) :- বর্ধমান চলচ্চিত্র চর্চা কেন্দ্রের উদ্যোগে আয়োজিত হলো শর্ট ফিল্ম ফেস্টিভ্যাল। রবিবার …