Breaking News

সরকারি অর্থ আত্মসাতে অভিযুক্ত পঞ্চায়েতের ডেটা এন্ট্রি অপারেটারকে হেফাজতে নিল পুলিস সরকারি অর্থ আত্মসাতে অভিযুক্ত পঞ্চায়েতের ডেটা এন্ট্রি অপারেটারকে তদন্তের প্রয়োজনে হেফাজতে নিল পুলিস

Panchayat data entry operator surrenders to CJM court in case of embezzlement government money

বর্ধমান (পূর্ব বর্ধমান) :- সরকারি অর্থ আত্মসাতে অভিযুক্ত পঞ্চায়েতের ডেটা এন্ট্রি অপারেটার সুকান্ত পালকে তদন্তের প্রয়োজনে হেফাজতে নিল পুলিস। বৃহস্পতিবার সে আদালতে আত্মসমর্পণ করে। তাকে বিচার বিভাগীয় হেফাজতে পাঠানো হয়। তাকে ১০ দিন নিজেদের হেফাজতে নিতে চেয়ে আদালতে আবেদন জানায় পুলিস। সোমবার সেই আবেদনের শুনানি হয়। ধৃতের ও সরকারি আইনজীবীর সওয়ার শুনে ৭ দিনের পুলিসি হেফাজত মঞ্জুর করেন ভারপ্রাপ্ত সিজেএম সোমনাথ দাস।
পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, জামালপুর থানার শুঁড়েকালনার বাসিন্দা সুকান্ত ২০১৮ সালে আঝাপুর পঞ্চায়েতে ডেটা এন্ট্রি অপারেটার হিসাবে কাজে যোগ দেয়। পরে তাকে বেড়ুগ্রাম পঞ্চায়েতে বদলি করা হয়। চলতি বছরের ১৭ থেকে ২৪ জানুয়ারি পঞ্চায়েতে অডিট হয়। অডিটে ইন্দিরা আবাস যোজনা ও ১০০ দিনের প্রকল্পে অর্থ নয়-ছয়ের বিষয়টি সামনে আসে। কোনও রকম বিল, ভাউচার ও অনুমোদন ছাড়াই টাকা দেওয়া হয়। এ ব্যাপারে অডিট টিমের তরফে পঞ্চায়েতকে চিঠি দেওয়া হয়। পঞ্চায়েত এ ব্যাপারে কৈফিয়ৎ দিতে পারেনি। পঞ্চায়েতের প্রধান অশোক কুমার ঘোষ জামালপুর থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। তাতে তিনি জানান, প্রধান ও ভারপ্রাপ্ত নির্বাহী সহায়কদের ই-টোকেন ব্যবহার করে সরকারি অর্থ তছরুপ করেছে সুকান্ত। ১০০ দিনের প্রকল্পে ৬ লক্ষ ২৫ হাজার ৩০২ টাকা বিভিন্ন স্কিমে বাড়তি পেমেন্ট করা হয়েছে। অন্যের নাম ব্যবহার করে সেই টাকা আত্মসাত করেছে সুকান্ত। হাতিয়ে নেওয়া টাকা সে হুগলিতে একটি রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকের শাখায় স্ত্রী, নাবালক পুত্র ও নিজের নামে জমা রেখেছে।
অন্যদিকে, বেড়ুগ্রাম পঞ্চায়েতের তরফে নির্বাহী সহায়ক মলয় চন্দন মুখোপাধ্যায় আরও একটি অভিযোগ দায়ের করেন। তাতে তিনি জানান ১০০ দিনের প্রকল্পের ভার্মি কম্পোস্টের নামে ২৬ লক্ষ ২০ হাজার টাকা কোনও বিল ও ভাউচার ছাড়া পেমেন্ট করা হয়েছে। এনিয়ে পঞ্চায়েত থেকে কোনও অনুমোদন নেওয়া হয়নি। ইন্দিরা আবাস যোজনাতেও ১১ লক্ষ ৬১ হাজার টাকা অতিরিক্ত পেমেন্ট করা হয়েছে। নিয়ম অনুযায়ী ১০০ দিনের প্রকল্পে সুপার ভাইজারকে গ্রামে গিয়ে ৪-ক ফর্ম পূরণ করে আনতে বলা হত। ফর্ম পূরণের পর মাস্টার রোল তৈরি করা হত। পরে তা বিডিও অফিস থেকে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে পাঠানো হত। মাস্টার রোল তৈরির পুরো বিষয়টি সুকান্ত দেখত বলে জানিয়েছেন নির্বাহী সহায়ক। অডিটে এইসব অনিয়মের বিষয়গুলি সামনে আসে। জামালপুর থানার এক অফিসার বলেন, তদন্তের প্রয়োজনে ধৃতকে হেফাজতে নেওয়া হয়েছে। সরকারি অর্থ আত্মসাতে তার সঙ্গে আর কেউ জড়িত কিনা সে ব্যাপারে তার কাছে জানার চেষ্টা করা হবে। এছাড়াও কিভাবে সে টাকা হাতিয়েছে তা নিয়েও জিজ্ঞাসাবাদ করে জানার চেষ্টা করা হবে।

About admin

Check Also

Dilip Ghosh attacked the police with foul language, BJP candidate threatened to take off his pants.

পুলিশকে কদর্য ভাষায় আক্রমণ দিলীপ ঘোষের, প্যান্ট খুলে নেবার হুমকি

বর্ধমান (পূর্ব বর্ধমান) :- বুধবার সন্ধ‌্যায় বর্ধমান শহরের পারবীরহাটা এলাকায় বর্ধমান-দুর্গাপুর কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী দিলীপ …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *