Breaking News

লিলুয়ার পরিবহণ ব্যবসায়ীকে খুনের ঘটনায় ধৃতের মোবাইল উদ্ধার

বর্ধমান (পূর্ব বর্ধমান) :- হাওড়ার পরিবহণ ব্যবসায়ী কুন্দন মহারাজকে খুনের ঘটনায় পুলিশি হেপাজতে থাকা সাইফুদ্দিন বৈদ্য ওরফে সাইবুদ্দিনের কাছ থেকে একটি মোবাইল উদ্ধার করেছে বর্ধমান থানার পুলিশ। হাওড়ার ডবসন লেনে একটি হোটেলের কাছে রিকশ স্ট্যান্ডের কাছ থেকে মোবাইলটি পেয়েছে পুলিশ। খুনের ঘটনার দিন সন্ধ্যায় সাইফুদ্দিনের মোবাইল থেকে কুন্দনের বাবাকে ফোন করা হয় বলে পুলিশের দাবি। সাইফুদ্দিনকে হেপাজতে নিয়ে অবশ্য মোবাইল উদ্ধার ছাড়া আর কিছু করতে পারেনি পুলিশ। খুনে জড়িত আসল অপরাধীদের হদিশ এখনও পায়নি পুলিশ। তারা ভিন রাজ্যে গা-ঢাকা দিয়েছে বলে পুলিশ জানিয়েছে। ৫ দিনের পুলিশি হেপাজতের মেয়াদ শেষ হওয়ার পর মঙ্গলবার সাইফুদ্দিনকে ফের আদালতে পেশ করা হয়। তাকে হেপাজতে নেওয়ার জন্য আর আবেদন জানায় নি পুলিস। ধৃতের আইনজীবী পীযূষ বন্দ্যোপাধ্যায় জামিন চেয়ে সওয়াল করেন। তিনি বলেন, ধৃতকে জেলে বন্দী রেখে তদন্তের অগ্রগতি হওয়ার কোনও সম্ভাবনা নেই। আদালতে পুলিশ জানিয়েছে, ধৃতের বাড়ি উত্তর ২৪ পরগণার বাসন্তী থানার খেড়িয়ায়। আইনজীবী আদালতে জানান, ধৃতের বাড়ি উত্তর ২৪ পরগণায় নয়, দক্ষিণ ২৪ পরগণায়। ঠিকানা ভুল লেখার বিষয়ে তদন্তকারী অফিসারের ব্যাখ্যা তলব করেছেন বিচারক। ধৃতকে ২৯ জুলাই পর্যন্ত বিচার বিভাগীয় হেপাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেন ভারপ্রাপ্ত সিজেএম সোমনাথ দাস।
পুলিশ জানিয়েছে, গত ৬ জুন বিকাল সাড়ে ৪টে নাগাদ ডবসন লেনের একটি হোটেলের সামনে থেকে কুন্দনের গাড়ি ভাড়া করে কয়েকজন। তারা বর্ধমানে আসার কথা বলে। সেদিন রাত সাড়ে ৮টা নাগাদ বর্ধমান থানার বেচারহাট এলাকায় জাতীয় সড়কের পাশ থেকে কুন্দনের রক্তাক্ত মৃতদেহ উদ্ধার হয়। সেখান থেকে প্রায় ১০ কিলোমিটার দূরে কুন্দনের তোবড়ানো গাড়িটি উদ্ধার হয়। পুলিশ ঘটনার বিষয়ে স্বতঃপ্রণোদিত মামলা রুজু করে। কুন্দনের বাবা পুলিশকে জানান, ঘটনার দিন এক অজানা ব্যক্তি তাকে ফোন করে। সেই ফোনের সূত্র ধরে পুলিশ সাইফুদ্দিনকে গ্রেপ্তার করে।

About admin

Check Also

Stock Photo - The University of Burdwan - Administrative Campus - Rajbati Campus - Photo by Sanjoy Karmakar, Purba Bardhaman

বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রায় ২ কোটি টাকা নয়ছয়ের ঘটনায় তদন্ত শুরু করলো ইডি

বর্ধমান (পূর্ব বর্ধমান) :- বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রায় ১ কোটি ৯৪ লক্ষ টাকা নয়ছয়ের ঘটনায় তদন্ত …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *